মার্চ ২২, ২০২৫

শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

ঈদের আগেই বেড়েছে মুরগির দাম, স্বস্তি নেই চালের বাজারেও

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর দরজায় কড়া নাড়ছে। আর এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। সবজির বাজার কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও, মুরগির দাম যেন লাগামছাড়া।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় মুরগির দাম বাড়ছে। এছাড়া, খামারিরা পাইকারি বাজারে মুরগি সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় দাম আরও বেড়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজার, বাদশা মিয়ার বাজার, চক বাজার এবং টমসম ব্রিজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০০ টাকায়।

এছাড়াও, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দামও বেড়ে প্রতি পিস ৬০০-৭০০ টাকা হয়েছে।

তবে, গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজগঞ্জ বাজারে আসা ক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, “চাল, তেল, মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া।”

এদিকে, রোজার শুরু থেকেই লেবু, বেগুন ও শসার দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে, টমেটো ২০-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা এবং আলু ও পেঁয়াজ ২০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।

মাছের বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। বর্তমানে প্রতি কেজি চাষের রুই (দুই কেজি আকারের) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।

অন্যদিকে, গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫-৮ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮৫-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মিনিকেট চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

সব মিলিয়ে, ঈদের আগে নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দাম সাধারণ মানুষের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।