ইরানের পুলিশ গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল। হিজাব আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে। পরে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছরের এই কুর্দি তরুণী মারা যান। আর আমিনীর মৃত্যুর এক বছর পূর্তির সময় ঘনিয়ে আসার সময় হিজাব আইন আরও কঠিন করার চিন্তা-ভাবনা করছে ইরান।
হিজাব আইন লঙ্ঘনকারীদের আরও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে এ সংক্রান্ত একটি নতুন খসড়া আইন প্রস্তুত করছে দেশটি।
এতে বলা হয়েছে, ইরানে যে নারী হিজাব পরতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আইন ভঙ্গকারী তারকা ও ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পোশাকনীতি অমান্যকারীদের খুঁজে বের করতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে তাদের শনাক্ত করা হবে এবং শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আপাতত বিলটি খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। এখনো পাস হয়নি। এই খসড়া আইন ইঙ্গিত দিচ্ছে গত বছর হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হলেও, এই আইন কার্যকরে পিছপা হবে না দেশটির সরকার।
এতে আরও বলা হয়েছে, কেউ হিজাব পরিধান বিধান লঙ্ঘন করলে ৫ থেকে ১০ বছরের জেল সঙ্গে ৩৬ কোটি ইরানি রিয়াল জরিমানা হতে পারে। যা ৮ হাজার ডলারেও বেশি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, খসড়া আইনটি এ বছরের শুরুতে বিচার বিভাগ সরকারের কাছে প্রেরণ করেছিল। এরপর এটি পাঠানো হয় পার্লামেন্টে এবং পরবর্তীতে আইন ও বিচার কমিশনে এটি গৃহীত হয়। কাল রোববার আইনটি বোর্ড অব গভর্নরের কাছে পাঠানো হবে। এরপর যাবে পার্লামেন্টের ফ্লোরে।
সংবাদমাধ্যটি আরও জানিয়েছে, পার্লামেন্ট আগামী দুই মাসের মধ্যে আইনটির ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করবে। সূত্র: সিএনএন