বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

“ইনসাফের ভিত্তিতে সবার প্রাপ্য পৌঁছে যাবে”: জামায়াত আমির

রাইজিং ডেস্ক

Rising Cumilla - Jamaat
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান/ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তবে কারও ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলনে যেতে হবে না। তিনি আশ্বাস দেন, “সবার প্রাপ্য তার হাতে পৌঁছে যাবে ইনসাফের ভিত্তিতে।”

তিনি আরও জানান, তাঁদের দলীয় কর্মপরিকল্পনায় তিনটি প্রধান অঙ্গীকার থাকবে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) আয়োজিত বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জামায়াত ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ক্ষমতায় গেলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলটির আমির।

প্রথম অঙ্গীকার হিসেবে ডা. শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে শিক্ষা অনৈতিকতা তৈরি করে, মানুষকে দুর্নীতিবাজ বানায়, মানুষকে ইতর প্রাণী বানায় সেই শিক্ষা আমরা দেবো না। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায়, মানুষকে সম্মান করতে শেখায় সেই শিক্ষাই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দেবো।”

শিক্ষাকে তিনি মানুষের মেরুদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে আরও বলেন, “আমার মেরুদণ্ড নেই তো দাঁড়াব কীভাবে, বসব কীভাবে, মেরুদণ্ড ছাড়া তো আমি ফুটবল হয়ে যাব। প্রথমে মেরুদণ্ডেই চিকিৎসার জন্য হাত দিতে হবে।” তাঁর লক্ষ্য হলো এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা মানুষকে সৎ, নৈতিক এবং মানবিক গুণে গুণান্বিত করে তোলে।

দ্বিতীয় অঙ্গীকার হিসেবে তিনি বলেছেন, “শুধু ডিগ্রির ভিত্তিতে এই কল্যাণ রাষ্ট্রে কারও মর্যাদা র্নিধারণ হবে না। কাজের ভিত্তিতে মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে।”

তৃতীয় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, তাঁরা “দুর্নীতির জোয়ার কেটে দিবো।” তিনি স্বীকার করেন, “এ কথা শুনে অনেকের বুকে ধড়ফড় শুরু হয়েছে। অনেকেই তো আবার চলেনই এগুলো দিয়ে।” তিনি এ প্রসঙ্গে আরও জানান যে, “যে সার্ভিসের ডেপ্থ এবং ওয়েট যত সেই সার্ভিসের বেতন কাঠামো সেইভাবে করতে হবে।”

আরও পড়ুন