
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় নতুন করে করোনা পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২৮ হাজার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দেশে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মহাপরিচালক বলেন, “টিকার কিট ইতোমধ্যে আমরা সংগ্রহ করেছি। যেখানে আর্টিফিশিয়ালি হয় সেখানে এখনো পরীক্ষা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ জন্য যথেষ্ট সংখ্যক কিট আমরা সংগ্রহ করেছি।”
তিনি আরও জানান, ২৮ হাজার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দেশে এসেছে এবং আরও ১০ হাজার আর্টিফিশিয়াল অ্যান্টিজেন ও কিট আজকের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথেও যোগাযোগ অব্যাহত আছে, ফলে কিটের কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর ভ্যাকসিনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “ভ্যাকসিন চলমান রয়েছে। যাদের কখনোই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। বিশেষ করে ১৮ বছরের উপরে যারা ‘ডিফারেন্ট কন্টাক্ট পারসনের’ (বিভিন্ন ব্যক্তিদের) সঙ্গে কাজ করেন, এবং প্রেগনেন্ট উইমেন (অন্তঃসত্ত্বা নারী) তাদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। আর পুরাতনদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি।”
দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সংক্রমণের হার যেমন ছিল, এখনো তা ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। সবশেষ মঙ্গলবার ১০১ জনের করোনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার ৪১ জনের মধ্যে ৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এই হার আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে যেহেতু প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বলে মহাপরিচালক জানান। তিনি বলেন, “জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।” এ সময় জনগণ যাতে আতঙ্কিত না হয়, সে জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকর্মীদেরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি প্রচারে আহ্বান জানান তিনি।