এবার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো এবং টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা রোধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
এই সীমা অতিক্রমকারী সিমগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসি’র ২৯৬তম কমিশন সভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপারেটরদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমানো এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সাথে সঙ্গতি রাখা। মে মাসে কমিশন মিটিংয়ে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের ফলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের জন্য সুযোগ ও সময়সীমা:
বিটিআরসি জানিয়েছে, গ্রাহকরা তাদের অপ্রয়োজনীয় সিম বন্ধ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। প্রাথমিকভাবে, আগামী ১ আগস্ট থেকে গ্রাহকদের ৩ মাসের সময় দেওয়া হবে নিজ উদ্যোগে অতিরিক্ত সিমের নিবন্ধন বাতিল করার জন্য। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী বলেন, মানুষের ভোগান্তি এড়াতেই এই সময় দেওয়া হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
গ্রাহকদের সিম বাতিলের প্রক্রিয়া:
আপনার নামে কয়টি সিম আছে, জানবেন যেভাবে:
গ্রাহকরা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ও নম্বর জানতে পারবেন। যদি অতিরিক্ত সিম থাকে, তবে সেগুলো ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ এর মাধ্যমে অন্য কারো নামে হস্তান্তর করা যাবে।
যদি কোন গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হয়ে যায়?
বিটিআরসি আশ্বস্ত করেছে যে, এই প্রক্রিয়ায় কোনো গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিম যদি ভুলবশত বাতিল হয়ে যায়, তবে অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করে পুনরায় সেটি নিবন্ধন করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC