বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর চাঁদাবাজি- এটা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী?"
তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশে এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই এসব কথা বলেন।
'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবার কিভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন।
মির্জা ফখরুল তার বক্তৃতায় জুলাই মাসের আন্দোলনে যুবদল ও ছাত্রদলের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। তিনি জানান, ওই আন্দোলনে যুবদলের ৭৯ জন এবং ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, "যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জুলাই অভ্যুত্থান কোনো নির্দিষ্ট দল বা ছাত্র সংগঠনের একক আন্দোলন ছিল না; বরং শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের ফলেই স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি নিয়েও মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না?"
সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলেও বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করতে জানে এবং লড়াই করেই দেশকে মুক্ত করেছে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC