
জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং একটি দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায়ে মঙ্গলবার (গতকাল) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরুন্দি স্টেশনে পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা সেটি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এই সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েই তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রেনটি আটকে রাখেন আন্দোলনকারীরা, যার ফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতি: আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রেনটি আটকে রাখা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে সেখানে দেখা যায়নি। পরে নরুন্দি স্টেশনমাস্টার মাহমুদুল হক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। স্টেশন মাস্টারের অনুরোধে এবং দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দাবির বিষয়টি জানানোর আশ্বাসে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ও ভোগান্তির চিত্র: মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন নরুন্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ইউসুফ আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান কবির শিপন, সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান মাসুম, এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামনুরী ইমামসহ আরও অনেকে।
বক্তারা তুলে ধরেন, জামালপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নরুন্দি, বাশচড়া, ঘোড়াধাপ, ইটাইল ও তুলশীরচর এই বিশাল এলাকার লক্ষাধিক মানুষের বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ ও রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের জন্য ট্রেনই প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। এতদসত্ত্বেও, এত গুরুত্বপূর্ণ নরুন্দি স্টেশনে বেশির ভাগ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই।
বক্তারা আরও জানান, এই স্টেশন হয়ে মোট ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি ট্রেন এখানে থামে,
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস: রাত ৮টায় যাত্রাবিরতি করে।
যমুনা এক্সপ্রেস: রাত সাড়ে ৩টায় যাত্রাবিরতি করে।
দিনের বেলায় একটি আন্তঃনগর ট্রেনও এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে না। এই কারণে লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মাহমুদুল হক আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এলাকাবাসীর ন্যায্য দাবির বিষয়টি তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।









