‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আবারও চলে এলো বাঙালির প্রাণের মেলা— অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাসব্যাপী এই মেলা শুরু হবে বিকাল ৩টায়। বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’সহ কয়েকটি নতুন ‘গ্রন্থ উন্মোচন’ করবেন। লেখকদের হাতে তুলে দেবেন ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘Collected Works of Sheikh Mujibur Rahman: Volume-2’ সহ কয়েকটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এ সময় তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করবেন।
বইমেলার সময়সূচি: সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান: এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়।
একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন থাকবে।
বইমেলার বিন্যাস অক্ষুণ্ন, থাকছে আটটি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ: এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে আটটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে।