‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…’ ধ্বনিতে মুখরিত কাবা চত্বর। বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়।
আজ রোববার সকাল থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ৭ ও ৮ জিলহজ হাজিরা মিনার তাঁবুতে অবস্থান করবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদিতে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। আর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ২৯ জুন। এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া।
তিনি বলেন, এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজ যাত্রীদের সেবা দেবেন। হজ পালনে আল্লাহর অতিথিদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।
গত ২১ মে বিমানের প্রথম ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের হজযাত্রা। হজযাত্রীদের বহন করে বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বহন করে ৬১ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রী। বাকিদের বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস। গত বৃহস্পতিবার বিমানের হজ ফ্লাইট শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় চূড়ান্ত নিবন্ধন। এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করা যায়নি।