নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার আইফোন কেনার জন্য নিজের অপহরণ ও গণধর্ষণের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাহিয়ার দুই সহপাঠী সিফাত মিয়া ও সিনথিয়া আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানান।
ওসি জানান, গত বুধবার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের ওই ছাত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের খবর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরপর মাহিয়ার পরিবার রূপগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত মাহিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জে পাঠায়।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে, মাহিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই একটি আইফোন কেনার জন্য চেষ্টা করছিলেন। আর এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই তিনি সহপাঠী সিফাত ও সিনথিয়ার সঙ্গে মিলে নিজের অপহরণের একটি elaborate ছক কষেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার সকালে কলেজ যাওয়ার কথা বলে মাহিয়া বাসা থেকে বের হন। এরপর সিফাত মাহিয়ার মাকে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মেয়েকে গণধর্ষণের হুমকি দেন।
তদন্তে আরও প্রকাশ পায়, গত মঙ্গলবার রাতে মাহিয়া তার বান্ধবী সিনথিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পরদিন পরিবার থেকে কাঙ্ক্ষিত টাকা না পেয়ে মাহিয়া বন্ধু সিফাতের সহায়তায় একটি তুষকা সিরাপ কিনে অর্ধেক পান করেন এবং মুড়াপাড়া কলেজের পেছনে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর সিফাত মাহিয়ার বাড়িতে ফোন করে জানান, টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে কলেজের পেছনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়ার সহপাঠী সিফাত ও সিনথিয়াকে আটক করা হয়েছে।
