আজকাল অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু কেন এমনটা হয়? চুলের রং হারিয়ে যাওয়ার পেছনে কী কারণ?
আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।
কেন অল্প বয়সে চুল পাকে?
চুল পাকা রোধে কী করবেন?
স্বাস্থ্যকর খাবার: চুল পাকা রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পুষ্টির অভাব। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি ১২, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডিম, মাছ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ফল।
ধূমপান পরিহার: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, ধূমপান শরীরের প্রিম্যাচিউর এইজিংয়ের জন্য দায়ী। ধূমপান বন্ধ করলে সার্কুলেশন পর্যাপ্ত গতিতে চলে, আর চুলের অকালপক্বতাও রোধ হয়।
নারকেল তেল ও কারি পাতা: কারি পাতায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান চুল পাকায় বাধা দেয়। এ জন্য নারকেল তেলে কারি পাতা সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন।
আমলা: আমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি চুলের জন্য উপকারী। আমলার রস বা আমলা পাউডার দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজের রস:পেঁয়াজ সালফার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলো চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ধূসরতা কমায়। চুলের গোড়ায় টাটকা পেঁয়াজের রস লাগান, ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কপার সমৃদ্ধ খাবার: আমাদের শরীরে কপারের অভাবে চুল পেকে যেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় পালংশাক, মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, মাশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখুন।
চাপ কমান: অতিরিক্ত চাপ চুলের অকালে পাকার পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে যোগব্যায়াম, ধ্যান ও ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি মানসিক চাপ কমাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করবে।
তেল মালিশ: নিয়মিত চুল মালিশ করুন। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে এবং ধূসর হওয়া কমিয়ে দিবে। তেল মালিশের জন্য নারকেল তেল, বাদাম তেল বা ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করুন এবং সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে ম্যাসাজ করুন।
মনে রাখতে হবে, যদি আপনার চুল পাকার সমস্যা অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC