অবশেষে পুনরায় চালু হয়েছে রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ভাঙচুর হওয়ায় স্টেশনটি জুলাই থেকে প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল। প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় মেরামত করে সচল করা হয়েছে এই স্টেশন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের একথা জানান।
স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করা হয়েছে, তাই সেসব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে।
মেট্রোরেলের এমডি পদের জন্য দেশি-বিদেশি মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি ব্যক্তিদের থেকে আবেদন আহ্বান করছেন জানিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এখানে মেট্রোরেলে একটা ক্লজ ছিলো যেখানে সাবেক আমলা ছাড়া অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া যেত না। আমরা সেটা এখন বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন আমরা চাই যেনো দেশে-বিদেশে থাকা মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কাউকে এই পদে নিয়োগ দিতে চাই। আমরা সে জন্য উম্মুক্ত আবেদন আহ্বান করছি।
ফওজুল কবির খান বলেন, আমরা এই জন্য সরকারের কাছ থেকে আলাদা কোন টাকা চাইব না। আমাদের মেট্রোরেলের যে অর্থ আছে সেখান থেকেই এই খরচ করব।
মেট্রোরেলে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ছাত্ররা কেউ করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতকারী যারা আছে, আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিএমটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।