মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর, ২০২৫

অবশেষে মামলার পথে হাটলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি, আসামি যারা

রাইজিং কুমিল্লা অনলাইন

অবশেষে মামলার পথে হাটলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি, আসামি যারা/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকা ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামি তাঁর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) শাহবাগ থানায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সময় ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) কয়েকজন সদস্য তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি।”

এ সময় ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা উপস্থিত ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান যে, “অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।”

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মুনসুর মামলায় চারজনকে আসামি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষিকা মোনামির এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন: ১ নম্বর আসামি: সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, ২ নম্বর আসামি: লেখক ও এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ৩ নম্বর আসামি: ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন, ৪ নম্বর আসামি: আশফাক হোসাইন ইভান

এজাহারে আসামিদের ফেসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি অভিযোগ করেছেন যে, অজ্ঞাতনামা আসামিরাও তাদের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত তার ছবি এডিট করে অশালীনভাবে পোস্ট করছে এবং তাঁকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করছে।

শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামি নিজের মানসিক অবস্থার কথা জানিয়ে বলেছেন, “ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে অশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো।” তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুন