
পবিত্র কুরআন অবমাননাকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সাড়ে এগারেটায় শহিদ আব্দুল কাইয়ুম চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ম অবমাননা বরদাশত করব না’, ‘অপূর্ব পালের ফাঁসি চাই’ ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার-সাবধান’ ‘কুরআন অবমাননাকারীর কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পবিত্র কুরআনের অবমাননার মাধ্যমে অপূর্ব পাল কেবল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেনি, সে দেশের আইন ও সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে। তারা অবিলম্বে তার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম মুস্তফা বলেন, ‘গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল পবিত্র কুরআনে লাথি দিয়েছে। এর মাধ্যমে সে যেন আমাদের হৃদয়ে লাথি দিয়েছে। কিছুদিন পর পর আমরা এধরণের ঘটনা দেখতে পাই। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকা। সরকারে উচিত অতি দ্রুত আইন প্রণয়ন করে এধরণের ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।’
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাহীম বলেন‚ ‘কুরআন কেবল মুসলিমদের জন্য আসেনি‚ এটি পুরো মানবজাতির জন্য এসেছে। এরপর যখন দেখেছি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন অবমাননা করা হয়েছে‚ আমার প্রশ্ন হচ্ছে এনএসইউ-তে কি মুসলমান ভাইবোনেরা নেই? তাকে যারা মানসিক বিকারগ্রস্ত বলছেন কিন্তু বিকারগ্রস্ত হয়ে বারবার শুধু কোরআন নিয়ে কেন! কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখেছি এদের একটি সংসদ। আমরা তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই‚ যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে চায়। বাংলাদেশের আইন তাদের ছেড়ে দেয়ার আইন‚ নয়তো আজকে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়ন হতো। সবাইকে এদের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান করছি।’
পরে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কাইয়ুম চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক কুরআন অবমাননার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।