গত ৩ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝে হঠাৎই অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। তবে ‘অভিমানের’ অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরলেও তামিম ইকবাল ছেড়েছেন অধিনায়কত্বের পদ। শুরুতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে নিজের ইনজুরিকে দায় দিলেও অবশেষে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সমস্যার শুরুটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে। প্রথম ম্যাচে কিছুটা চোট নিয়েই খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। যা ভালো ভাবে নেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এমনকি এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন প্রধান কোচ।
টিম ম্যানেজমেন্টের এমন আচরণের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। এরপর অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ক্রিকেটে ফিরলেও হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিমের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি যদি কারো ওপর সন্তুষ্ট না থাকি কিংবা কেউ যদি আমার ওপর সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে এত বড় ইভেন্টে (বিশ্বকাপে) আপনি যদি শুধু পজিশনটাকে (অধিনায়কত্ব) ধরে রাখেন-ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না বা একটা অস্বস্তি থেকে যাচ্ছে, তো এটাতো দলের মধ্যে একটা প্রভাব ফেলবেই। আমি সেই স্বার্থপর ব্যক্তিটা হতে চাইনি। আমার জন্য ৫ শতাংশও যদি দলের ওপর প্রভাব পড়ে তাহলে সেটা আমি চাই না।’
শুধু নেতৃত্বই নয়, কোমরের চোটের কারণে আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম। ফলে তার জায়গায় জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।
এদিকে জ্বর থেকে সেরে ওঠেননি সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। জ্বরে আক্রান্ত লিটন বর্তমানে নিজের বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। তার সবশেষ পরিস্থিতি জানতে রোববার ডেঙ্গু টেস্ট করানো হয়েছিল। তাতে অবশ্য স্বস্তির খবরই পেয়েছে বাংলাদেশ। ডেঙ্গু পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে লিটনের।
৩১ তারিখ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচসহ গ্রুপ পর্বে লিটনের খেলা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে তারকা এই ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থার ওপর।