
এবার ঈদুল আজহার অন্যতম সিনেমা ‘তুফান’। রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটি প্রথম থেকেই আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ৷ যার প্রধান কারণ শাকিব খান।
‘তুফান’ সিনেমায় শাকিবের প্রথম লুক পোস্টার প্রকাশের পরই ভক্তরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। ‘তুফানে’র টিকিট না পেয়ে মধুমিতা হলে ভাঙচুরের খবরও গণমাধ্যমে এসেছিল ।
নির্মাতা থেকে জানা গেছে, ৪৭টি পুরো হাউজফুল। এছাড়াও সিলেটে নন্দিতা হলে বন্যার মধ্যেও দর্শক ছবি দেখছেন এবং শো হাইউফুল।
এদিকে ২০ বছরের সব রেকর্ড ব্রেক করে ‘তুফান’ সিনেপ্লেক্সে সর্বোচ্চ ৪৭ শো পেয়েছে। প্রতিনিয়ত শো বেড়ে যাচ্ছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যৈষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মেজবাহ আহমেদ বলেন, ২০ বছরের সব রেকর্ড ব্রেক করে ‘তুফান’ সিনেপ্লেক্সে সর্বোচ্চ ৪৭ শো পেয়েছে। প্রতিনিয়ত শো বেড়ে যাচ্ছে। মাত্র দুদিনে দর্শকদের যে চাপ আমরা অনুভব করি দু-চারদিনের মধ্যে শো সংখ্যা কততে পৌঁছায় তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এর আগে কোনো বাংলা সিনেমা এতগুলো শো পায়নি। এক্ষেত্রে ‘তুফান’ দর্শকদের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
তিনি জানান, সিনেপ্লেক্সে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫২টি শো চলেছিল ‘স্পাইডারম্যান’ এর। এরপরের অবস্থানে দৈনিক ৪২ শো ছিল শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ এর। বাংলা সিনেমার মধ্যে ‘পরাণ’ এর শো ছিল ৩২টি, সুড়ঙ্গ ৩১টি, হাওয়া ২৬টি, প্রিয়তমা ২১টি করে শো চলেছিল। এবার সে রেকর্ড ভেঙে দিল ‘তুফান’।
উল্লেখ্য, ‘তুফান’ অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা। তুফানে যেখানে নব্বই দশকের একজন গ্যাংস্টারের চরিত্রটি অভিনয় করেছেন শাকিব খান। এ সিনেমায় আরও আছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘তুফান’-এ শাকিব খান ও চঞ্চল ছাড়াও অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা, মিশা সওদাগর প্রমুখ।