২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাছাইপর্বের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আফ্রিকা। বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলবে মোট ৪৮টি দেশ। উত্তর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে আফ্রিকা থেকে সর্বোচ্চ ১০টি দেশ খেলার সুযোগ পাবে। বেনিনের শহর কোতানুতে আগামী ১২ জুলাই হবে বাছাইপর্বের ড্র।
সম্প্রতি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল লোগো। ফুটবল বিশ্বকাপের আগামী আসর হবে ৪৮টি দেশ নিয়ে। প্রতি মহাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক দেশ খেলার সুযোগ পাবে মূলপর্বে। যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্যও তাই বেশি সময় লাগতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে যোগ্যতা অর্জন পর্বে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আফ্রিকা।
এদিকে, এত দিন যে ভাবে আফ্রিকার দেশগুলি ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত, আগামী বার থেকে সে ভাবে করতে পারবে না। তিন রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্বের বদলে এক রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু করতে যাচ্ছে আফ্রিকার ফুটবল সংস্থা। নতুন ফরম্যাটে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা শেষ করতে সময় কম লাগবে।
গত বছর কাতারে হওয়া বিশ্বকাপে খেলেছে মোট ৩২টি দেশ। সেখানে আফ্রিকার দল ছিল পাঁচটি। ২০২৬ সাল থেকে খেলতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি দেশ। তাই সদস্য দেশগুলিকে মোট ন’টি গ্রুপে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল।
আফ্রিকার ৫৪টি দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন। ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী আগামী ১২ জুলাই ৫৪টি সদস্য দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৬টি করে দেশ। দশম স্থানের জন্য লড়াই হবে গ্রুপগুলির সেরা চারটি রানার্স দলের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই।