বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রবাসী আয়ে কুমিল্লার গড় আয় মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার

ঢাকা-চট্টগ্রামের পরেই কুমিল্লা: রেমিট্যান্স প্রবাহে অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণ
ইনফোগ্রাফিক রাইজিং কুমিল্লা

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩২৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

এই অর্থ বছরের ১২ মাসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জেলা ভিত্তিক রেমিট্যান্সের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা জেলা এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট ও নোয়াখালী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা জেলা থেকে চলতি অর্থবছরে মোট ১ হাজার ৫৬৭ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশের মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের তৃতীয় সর্বোচ্চ।

চলতি অর্থবছরের ১২ মাসে প্রতিটি মাসেই কুমিল্লা থেকে গড়ে ১৩০ মিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে কুমিল্লা জেলা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপক। জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিমাসে কুমিল্লার প্রবাসীরা ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে গেছেন: অক্টোবর ১৩২.৬, নভেম্বর ১১০.৯, ডিসেম্বর ১৪১.৩, জানুয়ারি ১১৫.২, ফেব্রুয়ারি ১৩১.৩, মার্চ ১৬৯.০, এপ্রিল ১৩৮.০, মে ১৪০.০ এবং জুনে ১২৬.৩ মিলিয়ন ডলার।

চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত কুমিল্লা জেলার পাশাপাশি ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছে। নোয়াখালী থেকে এসেছে ৯০৪ মিলিয়ন ডলার, ফেনী থেকে ৮৭৩ মিলিয়ন ডলার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৮৩২ মিলিয়ন এবং ডলার চাঁদপুর থেকে ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে লালমনিরহাট, রাঙামাটি, বান্দরবান, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রবাসীদের কাছ থেকে। এই জেলাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাটে এসেছে মাত্র ২৫.৩ মিলিয়ন ডলার।

মাসভিত্তিক সার্বিক জাতীয় রেমিট্যান্স প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুর প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে আসে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা আগস্টে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২২২ কোটি ১৩ লাখে। এরপর সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলারে পৌঁছায়। জানুয়ারিতে আসে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মার্চ মাসে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যা তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

আরও পড়ুন