
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১,৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন দাম ঘোষণা করেছে, যা মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
এতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলায় হয়, স্বর্ণের গহনা কেনার সময় এর সাথে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
এর আগে সবশেষ বাজুস দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল ২০ সেপ্টেম্বর। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৬ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৯ বার, আর কমেছে মাত্র ১৭ বার।
অন্যদিকে, স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। অন্যান্য ক্যারেটের রুপার দামও অপরিবর্তিত রয়েছে: ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩,৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২,৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ২,১৩৫ টাকা।