জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির কী পদক্ষেপ জানতে চাইলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির কী পদক্ষেপ জানতে চাইলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির কী পদক্ষেপ জানতে চাইলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খোঁজ নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমার কমিশনের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। আপনারা জানেন আজকের আগে আমি দেখা করার সুযোগ পাইনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলো জানতে চেয়েছি। কিন্তু বৈঠকে বিষয়ে আমি কোনো কিছু প্রকাশ করবো না। তারাই ব্রিফ করবেন।’

এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তিনি বাংলাদেশে যোগদানের পর সিইসির সঙ্গে এটাই প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি আমাদের নির্বাচনি রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়ে তাকে ব্রিফ করেছেন। এটাই ছিল মূল বিষয়। এর মধ্যে বিশেষ করে ছিল নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের অগ্রগতি, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি, কোন পদ্ধতিতে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে থাকি, সে বিষয়গুলো তিনি জানতে চেয়েছিলেন।

অগ্রগতি জানার পর কোনো সন্তুষ্টির কথা বলেছেন কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির কিছু নেই।

পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণ নিয়ে তিনি (রাষ্ট্রদূত) কিছু বলেননি। সিইসি তাকে জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অনুরোধ এসেছিল, আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে। বলা হয়েছে, তারা টিম পাঠাতে পারেন। সিইসি তাদেরও অনুরোধ করেছেন আপনারা পর্যবেক্ষণ টিম পাঠান। আমরা স্বাগত জানাব। রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তার সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, তিনি তো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। তার রাষ্ট্রের সঙ্গে আগে কথা বলবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রসঙ্গত ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপির মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেবার ঘোষনা দেওয়ায় নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।