বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

সবজির সরবরাহ বাড়ছে, স্থিতিশীলতা ফিরছে নিত্যপণ্যের দরে

রাইজিং কুমিল্লা অনলাইন

Rising Cumilla -Rajganj Bazar Comilla
সবজির সরবরাহ বাড়ছে, স্থিতিশীলতা ফিরছে নিত্যপণ্যের দরে/ছবি: সংগৃহীত

বাজারে এখন শীতকালীন সবজি যেমন শিম, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে বেশ কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমেছে এবং বাজার এখন অনেকটা স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে।

প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে যেখানে অধিকাংশ সবজির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, এবং কিছু সবজির দাম ১০০ টাকাও ছাড়িয়েছিল, সেখানে এখন অনেক সবজির দর ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বর্তমান সবজির দাম প্রতি কেজি, শিম: ৫০-৬০ টাকা, মুলা: প্রায় ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি (ছোট আকারের প্রতি পিস): ৪০-৫০ টাকা, বরবটি, উচ্ছে ও কাঁকরোল: ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ও পটোল: ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ: ১০০-১৪০ টাকা।

সবজির দাম কমতে শুরু করায় এর প্রভাব পড়েছে ডিম ও মুরগির বাজারেও। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকায়, যা গতকাল (বুধবার) বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকায়। অর্থাৎ, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে পাঁচ টাকা কমেছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দর কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমে বর্তমানে ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়।

গত সপ্তাহে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠলেও পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। গতকাল মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে, আট-দশ দিন আগের তুলনায় এই দাম এখনও কেজিতে ৪০ টাকার মতো বেশি। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির হুঁশিয়ারি দেওয়ায় পেঁয়াজের বাজার স্থির রয়েছে।

মাছ-মাংসের বাজারে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আদা ও রসুনের দামে তেমন পরিবর্তন নেই,

দেশি রসুন: ১০০ থেকে ১৪০ টাকা (কেজি), আমদানি করা রসুন: ১৬০ থেকে ২০০ টাকা (কেজি) ও আদা: ১৫০ থেকে ২০০ টাকা (কেজি)।

এছাড়া, চাল, ডাল, তেল ও চিনির বাজার আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

আরও পড়ুন