জানুয়ারি ১২, ২০২৫

রবিবার ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

শুল্ক–কর বাড়ায় যেসব পণ্য ও সেবায় গুনতে হবে বাড়তি টাকা

Rising Cumilla - National Board Of Revenue
ছবি: সংগৃহীত

শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফলে এসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে। এর সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যেতে পারে। পণ্যভেদে আড়াই শতাংশ থেকে শুরু করে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

যেসব পণ্য ও সেবার শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্যের ভোক্তা প্রায় সবাই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের ওপর শুল্ক (ভ্যাট) বেড়েছে ১০ শতাংশ। ফলে ফল কিনতে খরচ বাড়বে। বিস্কুট ও কেকের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। ১০ শতাংশ বেড়েছে সস, আচার ও চাটনির শুল্ক। খরচ বাড়বে কাপড় পরিষ্কারে। ডিটারজেন্টের শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ এবং সাবানের ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে।

বাড়বে এলপি গ্যাসের দাম, শুল্ক বেড়েছে আড়াই শতাংশ। সব ধরনের টিস্যুর শুল্ক সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। স্তর অনুযায়ী সিগারেটের শুল্ক বেড়েছে ৭ শতাংশ পর্যন্ত।

বছরের শুরুতেই বাড়ছে ভ্রমণ খরচ। আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের টিকিটে শুল্ক বেড়েছে ২০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, ফলে বাড়বে ইন্টারনেট খরচ।

যারা নতুন নতুন খাবরের স্বাদ পেতে ঘন ঘন রেস্তোরাঁয় যান তাদের এখন চলতে হবে কিছুটা হিসাব কষে। কারণ, রেস্তোরাঁর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।

পোশাক কিনতেও গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পোশাকের দোকানে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। নতুন কাপড় বানাতেও যোগ হলো বাড়তি খরচের বোঝা। টেইলারিং শপের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বেড়েছে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ। এ খাতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে।

ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর দ্বিগুণ করেছে সরকার।

এর ফলে নতুন করে পণ্যগুলো কিনতে আগের চাইতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি গুনতে হবে ক্রেতাদের।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) শর্ত পরিপালনে কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো এবং যৌক্তিকীকরণ করার পরিকল্পনা নেয় সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করা হয়েছে।