নভেম্বর ২১, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪

শীতের আগমন: ত্বক, ঘর ও শরীরের যত্ন নিবেন যেভাবে

Rising Cumilla - winter clothes
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

শীতের হিমেল হাওয়া আমাদের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এই ঋতুটি অনেকের কাছেই আনন্দের। তবে শীতকে উপভোগ করার জন্য কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখা জরুরি। শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পারলে এই ঋতুটি আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।

তাই শীত আসার আগেই কিছু ব্যবস্থা নিয়ে রাখলে শীতকে আরামদায়কভাবে কাটানো যায়।

আসুন জেনে নিই শীতের আগে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে:

  • শীতের পোশাক সাজিয়ে নিন: শীতের তীব্রতা কাটিয়ে উঠতে গরম পোশাক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, মোজা, উষ্ণ টুপি ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন। গরম কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেট এবং বিছানার চাদরও শীতের রাতে আরাম দিতে পারে। শীতের পোশাকগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন আগে ভাগেই। কারণ সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে।

  • ঘর পরিষ্কার করে নিন: শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি। ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে।

  • ত্বকের যত্ন নিন: শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। চামড়ার উপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন।

  • ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: শীতে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হিটার বা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, জানালা ও দরজার ফাঁকফোকর বন্ধ করে ঠাণ্ডা বাতাস যাতে না ঢোকে তা নিশ্চিত করুন।

  • শীতকালীন খাদ্যাভ্যাস: শীতে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গরম খাবার, যেমন স্যুপ, স্টু, চা, এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আদা চা এবং মধু-লেবুর পানীয়ও উপকারী হতে পারে।

  • স্বাস্থ্য সচেতনতা: শীতে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু বেশি হয়, তাই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা জরুরি। প্রয়োজন হলে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।