তথ্য-প্রযুক্তির যুগে শিশু-কিশোরদের কাছে প্রযুক্তি পণ্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে আসক্তি হয়ে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে। বর্তমানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইলফোন আমাদের পরিবারেই একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়।
শিশু-কিশোরদের কাছেই বেশি আকর্ষণীয় এই প্রযুক্তি পণ্যগুলো। গেমস খেলা, ছবি আঁকা, গান শোনা, সিনেমা দেখা আরও কত কি! তাই সহজেই এই বস্তুটির প্রতি আকৃষ্ট হয় শিশু-কিশোররা।
শিশু কাঁদলেই, কিংবা খাবার খেতে না চাইলে অনেক বাবা-মায়েরা ডিভাইস ধরিয়ে দেন। এটি ঠিক নয়, শিশু কাঁদলেই হাতে ডিভাইস দেবেন না।
তবে এই আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হতে পারে যদি এখনই সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না হয়। অনেক অভিভাবক মনে করেন তার সন্তানটি সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলে হয়ত বড় হয়ে একজন প্রোগ্রামার কিংবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবে।
কিন্তু লক্ষ্য করে দেখুন সে কম্পিউটারে আসলেই শিক্ষামূলক কিছু করছে নাকি অযথা সিনেমা দেখে, গেমস খেলে সময় নষ্ট করছে। আর যদি ঘরে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে তো কথাই নেই, সারা বিশ্ব তার হাতের মুঠোয়। সারা বিশ্বের ভালো জিনিসগুলো যেমন তার হাতের মুঠোয় আসতে পারে, তেমনি সারা বিশ্বের খারাপ জিনিসগুলোর প্রতিও তার আগ্রহ জন্ম নিতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন না করলে এই আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহার একদমই ঠিক নয়। কারণ:
- চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, উচ্চরক্তচাপ হতে পারে
- ফোনের আসক্তি শিশুকে স্থুলকায় করে তুলতে পারে
- মানসিকভাবে তারা সবসময় এসব প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে থাকে। তাতে অন্যান্য খেলাধুলা, পড়াশুনায়ও মনোযোগ দিতে পারে না
- শিশুদের পিঠে বা ঘাড়ে ব্যথার অন্যতম কারণ এই আসক্তি
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে:
- খোলা জায়গায় খেলার ব্যবস্থা
- অন্য শিশুদের সাথে মিশতে দেওয়া
- বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া
- শিশুকে সময় দেওয়া
- শিশুকে ব্যস্ত রাখা
- ছড়ার বই, ছবিসহ বই দেওয়া
- ইন্টারনেট বন্ধ করে ফোন বা ট্যাব দেওয়া