শনিবার ১১ অক্টোবর, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ, সুফল দেখছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা

রাইজিং ডেস্ক

Rising Cumilla - school
যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ, সুফল দেখছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা/প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুলগুলোতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার পর থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে দাবি করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। কয়েক মাস আগেও যে শিক্ষার্থীরা ইউটিউব, ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন থাকত, এখন তাদের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই পড়ার আগ্রহ বাড়ছে।

এছাড়া, ক্যাফেটেরিয়া ও খেলার মাঠে তারা এখন নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে পারছে।

শ্রেণিকক্ষে অনেক শিক্ষার্থী লুকিয়ে টেক্সট, ই-মেইল বা ফেসটাইমে ব্যস্ত থাকার কারণে পড়ালেখায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি স্টেটের মধ্যে ৩৫টির পাবলিক স্কুলে (কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার-এর সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ৭৪% অভিভাবক এই সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৬% বেশি। একই বিষয়ে ইউগভ-এর আরেকটি জরিপে দেখা যায়, ৬৪% প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ৩৫টি স্টেটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর লাইব্রেরি থেকে বই নেওয়ার সংখ্যা ৩৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইব্রেরিয়ানরা বলছেন, “শিক্ষার্থীরা আবার পাঠাভ্যাসে ফিরছে। আমরা ভেবেছিলাম প্রযুক্তি সবকিছু গ্রাস করবে, কিন্তু তারা আবার বইয়ের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।”

শিক্ষকদের মতে, মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ বেড়েছে এবং হোমওয়ার্ক করার আগ্রহও দৃশ্যমান। এর ফলে কৃতিত্ব প্রদর্শনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।

ফ্লোরিডা ছিল প্রথম স্টেট, যেখানে ২০২৩ সাল থেকে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়। হিলসবরো কাউন্টি পাবলিক স্কুলের কমিউনিকেশনস প্রধান তানিয়া আর্জ বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইলে সময় কাটানোর বদলে পড়াশোনার বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছে।

আরও পড়ুন