দৈনন্দিন জীবনে আমরা জেনে না-জেনে এমন সব কাজ করি, যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১) সকালে নাস্তা না করা:
সকালে নাস্তা না করলে শরীরের শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়, যা নানা ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে। সকালে নাস্তা না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং ক্ষুধা অনুভব করার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, সকালে নাস্তা না করলে খিদে বেড়ে যেতে পারে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে ধাবিত করতে পারে।
২) রাতে দেরিতে ঘুমানো:
রাতে দেরিতে ঘুমানো শরীরের ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। ঘুমের চক্রের ব্যাঘাতের ফলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:
- ওজন বৃদ্ধি
- হৃদ্রোগ
- ডায়াবেটিস
- মানসিক চাপ
- অবসাদ
- স্মৃতিশক্তি হ্রাস
৩) খাওয়ার সময় টিভি বা কম্পিউটার দেখা:
খাওয়ার সময় টিভি বা কম্পিউটার দেখা মনোযোগকে বিভ্রান্ত করে। এতে খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে সমস্যা হয়, এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এছাড়াও, খাওয়ার সময় টিভি বা কম্পিউটার দেখা চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
৪) অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা:
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার ফলে ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:
- হাড়ের দুর্বলতা
- অস্টিওপোরোসিস
- ক্যান্সার
- হৃদ্রোগ
৫) অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া:
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, এবং বিভিন্ন হৃদরোগজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়, এবং দাঁতের ক্যারিজ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬) সকালে অধিক পরিমাণে ঘুমানো:
সকালে অধিক পরিমাণে ঘুমানো শরীরের ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করে। এতে সারাদিন ক্লান্ত লাগতে পারে, এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। এছাড়াও, সকালে অধিক পরিমাণে ঘুমালে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে।
৭) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব আটকে রাখা/বন্ধ করে রাখা:
প্রস্রাব আটকে রাখা/বন্ধ করে রাখার ফলে মূত্রাশয় এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, এটি মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই অভ্যাসগুলি পরিত্যাগ করে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারি।