
ভালো দাম পাওয়ায় পাট নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন গাইবান্ধার কৃষকরা। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে পাট চাষে আগ্রহ কমে গিয়েছিল, কিন্তু এবার চিত্রটা ভিন্ন। বর্তমানে প্রতি মণ পাট সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা এখন পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই কাজে সহায়তা করছেন। ভালো ফলন এবং বাজারে আশানুরূপ দাম পাওয়ায় তারা লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে আশা করছেন। একজন চাষি বলেন, “এ বছর পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তার উপর দামও অনেক সন্তোষজনক। যদি এভাবে দাম পাই, তাহলে আমরা আরও বেশি করে পাট চাষ করব।” তবে তারা পাট চাষে সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর উপরও জোর দিয়েছেন।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, পাট চাষকে আরও লাভজনক করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “চাষিরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে আমরা বিশেষ নজর রাখছি। সোনালি আঁশের উৎপাদন বাড়াতে এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” সরকারি পাট ক্রয় কেন্দ্রগুলো চালু হলে কৃষকরা আরও ন্যায্যমূল্য পাবেন বলেও তিনি মনে করেন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গাইবান্ধায় ১৩ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভালো ফলন এবং ন্যায্যমূল্য উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।