কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধান্যদৌল মোল্লা বাড়িতে শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে দিনমজুর দরিদ্র কৃষক মোঃ মোস্তফা মোল্লার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় শর্ট সার্কিটের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। সরেজমিন শনিবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ঘটনার দিন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোস্তফা মোল্লা তার অসুস্থ বোনের বাড়িতে তাকে দেখতে গিয়েছিলো।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় কয়েকজন মুসল্লী ফজরের নামাজ পড়তে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় ঘরের ভেতর থেকে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক চিৎকারে এলাকাবাসীরা সজাগ হয়ে আগুন নিভাতে চেষ্টা করে।
কিন্তু ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারেনি। এতে ঘরের ভেতর থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, গরুর খাবার, আলমারী, সুকেচ, ফ্রিজ, টিভি, মূল্যবান কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘরের মালিক মোস্তফা মোল্লা বাড়িতে এসে দেখে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা তাৎক্ষণিক এসে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রাথমিকভাবে তারা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সাহায্যে সহযোগিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক কৃষক মোস্তফা মোল্লা বলেন, আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কিছুই বের করা যায় নি। এখন মাত্র শরীরের গায়ে দেবার কাপড় ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট রইলো না। আমার প্রায় সবমিলিয়ে ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স.ম.আজহারুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। সাহায্য সহযোগিতা আসবে।