
হাঁসফাঁস করছিল কুমিল্লাসহ সারা দেশের মানুষ, ঠিক তখনই এক পশলা বৃষ্টি যেন শীতল পরশ বুলিয়ে গেল নগর জীবনে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা, আর দুপুর গড়াতেই কুমিল্লায় নামলো ঝুম বৃষ্টি। এই বৃষ্টি শুধু কুমিল্লাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বয়ে এনেছে শান্তির বার্তা। খবর মিলেছে, অন্যান্য জেলাতেও বৃষ্টি হওয়ায় অসহ্য গরম থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ।
টানা চারদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে বৃষ্টির দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। এদিন বেলা পৌনে একটার দিকে রাজধানী ঢাকাতেও নামে বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই বৃষ্টির ফলে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপপ্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। বৃষ্টির এই প্রভাব আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, আজ সকাল থেকেই সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা, যেমন সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা, সেইসাথে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এবং রংপুর, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি অঞ্চলগুলোতেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, মূলত গতকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রংপুর বিভাগে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশিরভাগ জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টি হচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি মঙ্গলবার ও বুধবারও থাকতে পারে। তবে, সম্ভবত দেশজুড়ে একই সময়ে বৃষ্টি হবে না।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যা ৪১ মিলিমিটার। অন্যদিকে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।