শহীদ আবু সাঈদ এবং রক্তাক্ত জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ‘ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে বিকাল ৪ টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টায় পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.ফেরদৌস রহমান ও ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশন করেছে কলরব, স্বপ্নসিঁড়ি, বহমান শিল্পীগোষ্ঠী সহ মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
তারা আরো বলেন, আমাদের চুপ করিয়ে রেখে এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয় যে সকল অপসংস্কৃতির চর্চা হয়েছে আমরা তারও নিন্দা জানাই এবং আমরা এমন ইসলামিক সাংস্কৃতির সঙ্গে সকল যুবক ভাই- বোনদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন বলেন, কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতোদিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এরকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমরা যেন এমন অনুষ্ঠান আরো বেশী দেখতে পাই তার ইচ্ছা পোষণ করছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক ও দেশের নানা অসংগতি নিয়ে গান করে আসছে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী। এরই মধ্যে তারা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এবার দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পীগোষ্ঠীটি। এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনুষ্ঠান করেছে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী।