বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা করা হয়েছে। খোলা সয়াবিনের লিটারে ৯ টাকা আর ৫ লিটারের বোতলে দাম বেড়েছে ৬৪ টাকা। অপরদিকে ১০ দিনের ব্যবধানে খোলা চিনির দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকার প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে।
অপরদিকে বুধবার বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানি নিয়ে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
দেশে ঈদের আগে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ছিল সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বাজারে খোলা চিনির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। তবে বাজারে খোলা চিনি পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না মোটেও।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সংকটে বাজারে চিনির দামে এই অস্থিরতা চলছে। মিলমালিকরা বলছেন, দেশে চিনির কোনো সংকট নেই। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি। এ অবস্থায় গতকাল চিনিকলের মালিকরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক চিঠির মাধ্যমে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা গেছে, এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।