রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের বিতর্ক কান্ডে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ক্যাম্পাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সমন্বয়ক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব খাটানো চেষ্টা করা ও ভবিষ্যৎ যেনো কেউ প্রভাব খাটাতে না পারে তাই সমন্বয়ক পরিচয় নিষিদ্ধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা সমন্বয়কের আড়ালে হল দখল নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট দুপুরে শহীদ মুখতার ইলাহি হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টও পদত্যাগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সমন্বয়ের প্যানেলে যারা দায়িত্ব পালন করছেন অধিকাংশ সমন্বয়ক কোঠা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল না। এর মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইদুর জামান বাপ্পি অন্যতম। পুরো আন্দোলনে সামনের সারিতে না থাকলেও ছাত্রদের বিজয়ের পর ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা এ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের জোর করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে নিয়ে আসার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাধারন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাপ্পি মূলত ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সমন্বয়কের মুখোশ পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে অবস্থানরত অবৈধ ছাত্রলীগের কর্মীদের যেনো হল থেকে না বের করা হয়, হল প্রভোস্টের কাছে এ দাবি করায় হল প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা আরেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন।
অন্যদিকে, গত ১৫ আগস্ট সোহাগ ও আরো দুইজন সমন্বয়ক প্রভাব খাটিয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের গেটে তালা দিয়েছেন । সকালে ঘুম থেকে উঠে শিক্ষার্থীরা বাইরে বাহির হতে না পেরে হট্টগোল শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তালা খুলে দেন। শাহরিয়ার সোহাগ নিজেই বাম ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। সে ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতি প্রভাবে হল দখল নিতে চায় বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সাইদুল জামান বাপ্পি বলেন, অবৈধদের হল থেকে চলে যাওয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যেহেতু অনেকদিন ধরে হলে ছিল, হঠাৎ করে তারা কোথায় যাবে। এটা ভেবে আমি স্যারকে বলেছিলাম, অ্যালটমেন্ট দেওয়ার সময়ে হলে অবস্থানরত অবৈধ শিক্ষার্থীদের যেন আগে এলোটমেন্ট দেয়া হয়।