আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। তবে বিএনপি যদি শুভবুদ্ধির উদয় করে সংলাপে আসে, তাহলে সেই সংলাপ হতে পারে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করারও সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই অংশ নিতে পারবেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মাধ্যমে তাদের তথাকথিত সমাবেশকে নিয়ে জনমনে যে আশঙ্কা ছিল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ২০১৪ সালে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অফিস-আদালত, বাসাবাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য আবারও তারা তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে। আমরা কারও সঙ্গে গায়ে পড়ে সংঘাতে যাব না। কারণ, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, শান্তির কথা বলছি। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ হামলে পড়লে পরিস্থিতি যেটা বলবে আমরা সেটাই করব।