সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
দুই-একদিনের মধ্যেই পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে ইস্যু করা লাল পাসপোর্ট বাতিল করতে আদেশ জারি করা হচ্ছে।
লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই কেবল মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভায় থাকা অন্যদের সরকারি পাসপোর্ট বাতিলের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কারণ পদত্যাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ এরইমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা আইন অনুযায়ী অফিসিয়াল পাসপোর্ট আর ধারণ করতে পারবেন না।
শেখ হাসিনার সরকারি পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি বৈধ সরকারি পাসপোর্ট বহন করছেন। এটি একদিনের মধ্যে তা বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন এবং পশ্চিমা দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। এমনটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রী-এমপিরা সংসদের মেয়াদকাল অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) পেয়ে থাকেন। সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায়। তবে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের আদেশ এলে সাধারণত বাতিল করা হয়।
এরপর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ রঙের) পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে কারও নামে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে তবে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকলেই কেবল তিনি সাধারণ পাসপোর্ট প্রাপ্ত হবেন।