ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উত্তরে নব নির্মিত ২০২৪ অলিম্পিকের গেমস ভিলেজ পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অলিম্পিক প্রধান থমাস বাখ।
১৯৭৬ অলিম্পিক গেমসে পশ্চিম জার্মানীর হয়ে ফেন্সিংয়ে স্বর্ণপদক জয়ী আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রধাস বাখ এ সময় বলেছেন, “একজন অলিম্পিয়ান হিসেবে অলিম্পিক ভিলেজে আসা সবসময়ই একটি দারুন মুহূর্ত। প্রতিটি অলিম্পিয়ানের ক্ষেত্রে একটি ঘটনা ঘটে থাকে, একবার যখন গেমস শেষ হয়ে যায় তখন যদি তার সাথে অন্য কোন ক্রীড়াবিদের দেখা হয় তখন অন্তত একবারের জন্য হলেও তারা গেমস ভিলেজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলে। বিষয়টি এককথায় দারুন। এই একটি জায়গায় পুরো অলিম্পিকের প্রাণ নিহিত।”
প্যারিস অলিম্পিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের জন্য ভিলেজ বানানো হয়েছে। বাখ একে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হিসেবে আ্যাখ্যা দিয়েছেন। একইসাথে তিনি বলেছেন, এটা খুবই নিচ্ছিদ্র। এখানে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শুধুমাত্র আমি নই, পুরো আইওসি কার্যনির্বাহী বোর্ড খুবই খুশী। ভিলেজ দেখে তারা অতন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এর প্রস্তুতিও দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই ভিলেজের আয়তন প্রায় ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। আগামী বছর ২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এরপরপরই রয়েছে প্যারা অলিম্পিক গেমস। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার ক্রীড়াবিদকে আতিথ্য দিবে প্যারিস অলিম্পিক ভিলেজ।
২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের প্রধান সমন্বয়ক টনি এস্টানগুয়েট বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষে পুরো ভিলেজের প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হলে তিনি মোটেই অবাক হবেন না। মার্চের শুরুতেই পুরো ভিলেজের চাবি সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। সময় কম লাগার বিষয়টিও প্রশংসার দাবীদার বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
অবকাঠামোগত উন্নতি বেশ ভালভাবে সম্পন্ন হলেও বিশেষ করে গেমস চলাকালীন গণপরিবহন ও আবাসন সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি প্যারিসের মেয়র আন্নে হিডালগো সমালোচিত হয়েছেন। যদিও বাখ এ সম্পর্কে বলেছেন, “আয়োজক কমিটিকে সাথে নিয়ে আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। এখানে পারষ্পরিক রেষারেষির কোন জায়গা নেই।”
এদিকে গেমস উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই মেট্রোর টিকেট মূল্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। গেমস চলাকালীন বর্তমানের বিক্রিত ২.১০ ইউরোর টিকেটের মূল্য বাড়িয়ে ৪ ইউরো করার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। ১০ টিকিটের ব্লকের মূল্য বর্তমানে ১৬.৯০ ইউরো থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৩২ ইউরো করা হয়েছে। প্যারিসের সাধারণ জনগনের জন্য এই মূল্য কোনভাবেই সহনীয় নয়।
সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকে ফ্রান্স পদক তালিকায় অষ্টম স্থান লাভ করেছিল। কোভিড মহামারির কারনে এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত আসরে ফ্রান্স ১০টি স্বর্ণ, ১২টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছিল।