
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তনের অষ্টম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান হৃদয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তারিন সুমাইয়া। নবগঠিত এ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা আগামী এক বছর দায়িত্ব পালন করবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গত কমিটির সভাপতি উম্মে হাবিবা শান্তা এবং সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া রিমির সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ইশতিয়াক রহমান, রকিব আহমেদ ও রুমা রানী দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রনি মহাজন, শ্রাবণ ভৌমিক ও জয় রয়, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: সোহেল রানা ও উম্মে রুম্মান, কোষাধ্যক্ষ পদে সুমাইয়া আক্তার মিম, দপ্তর সম্পাদক পদে মনিরা আক্তার শিলা, উপ দপ্তর পদে অন্তর রায় ও ময়ূরী ত্রিপুরা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রচার সম্পাদক পদে ফরহাদ কাউছার ও রিপন ভৌমিক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রিয়ামনি দেব ও মাহমুদা মিম, প্রশিক্ষণ ও পরিবেশনা পদে ইমন চক্রবর্তী ও গায়েত্রী মন্ডল। আপ্যায়ন সম্পাদক পদে ইফফাত সাবরিন রিনি ও জান্নাতুল নাইমা দিয়া, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা পদে বিথি দাস ও নাইমা ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য হিসেবে রিফাত আলী, মাহমুদুর রহমান সিফাত, জয়ীতা বড়ুয়া, তালহা যুবায়ের, আরাফ রহমান পারভেজ, লিলয় কুমার দাস, সুজন সুত্রধর, কর্ণ চন্দ্র আচার্য্য, সায়েদ সুমন, মহসিনা আনজুম নোভা ও শুভ নাথ দায়িত্ব পালন করবেন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে উম্মে হাবিবা শান্তা, ফারিয়া রিমি, জনি সরকার, অথিয়া পোদ্দার, আহেলি কানিত, সুমাইয়া আক্তার শিমু, জাহিদুল ইসলাম, জাওয়াদ উর রাকিন খান, শান্ত সরকার ও আমেনা ইকরা দায়িত্ব পালন করবেন।
সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় বলেন, “প্রতিবর্তন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ আমার জন্য এক নতুন যাত্রার সূচনা। এই সংগঠন শুধু গান, নাচ বা আবৃত্তির জায়গা নয় — এটি তরুণদের স্বপ্ন, সৃজনশীলতা ও ইতিবাচক চিন্তার মেলবন্ধন। আমি বিশ্বাস করি, সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম শক্তি। আগামী দিনে আমরা প্রতিবর্তনকে এমন এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে চাই যেখানে প্রতিটি তরুণ তার প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারবে এবং দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় অবদান রাখবে। আমরা সংস্কৃতির মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ, ঐক্য ও আলোকিত চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সকল শিল্পী, সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি—চলুন একসাথে আমরা ‘প্রতিবর্তন’-এর মাধ্যমে একটি সুন্দর, সংস্কৃতিমুখর সমাজ গড়ে তুলি।”
সাধারণ সম্পাদক তারিন সুমাইয়া বলেন, “প্রতিবর্তন সবসময়ই ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক মনন ও চর্চাটা বজায় রাখতে কাজ করে গেছে। প্রতিবর্তন চেয়েছে সবসময় সকল ধারার সংস্কৃতি যাতে সমুন্নত ও উদযাপিত থাকুক। তা সে যে ধারারই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সকল ধারা ও বৈচিত্রকে উদযাপন করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির মিলনে যাতে পরিমার্জিত রুচিবোধের চর্চা বজায় থাকে, প্রতিবর্তনের কালক্রমের এই প্রচেষ্টাই আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।”









