স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সংসদে বলেছেন, উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে বড় কবরস্থান নির্মাণের কোনো প্রকল্প বর্তমানে চলমান নেই। আগামীতে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বড় কবরস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আজ রোববার (৩০ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নিরাপদ পানি সরবরাহ নিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আছে। অবশিষ্ট জনগণ দূরবর্তী স্থান থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অভীষ্ট-৬ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামাঞ্চলে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৯টি পানির উৎস স্থাপন, ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৮টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টর (পানি দিয়ে সেচ) স্থাপন, ৫৬০টি রুরাল পাইপড ওয়াটার স্কিম নির্মাণ ও ১৫ হাজার ১৯৯টি মিনি/কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন।
এছাড়া শহরাঞ্চলে গৃহীত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৯টি পানি শোধনাগার নির্মাণ, ৮০৯টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন ও ২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লী ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৮০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ৪০০ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া নগর অঞ্চলে ৫০৭ কিলোমিটার সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ, ১৮০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৩৫টি ল্যাট্রিন নির্মাণ, ২টি বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ৩৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও ৪ হাজার ৩৫০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।