ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ ৪:১৮ পিএম
ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ ৪:১৮ পিএম

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা। ছবি: সংগৃহীত

এবার কি‌শোরগঞ্জ পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্স খু‌লে পাওয়া গে‌ল ১৯ বস্তা টাকা। সাথে মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রাও। ৪ মাস ২৪ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে। এখন গণনা চলছে।

শনিবার (৬ মে) সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ২৪ দিন পর সকাল ৮টার দি‌কে কি‌শোরগ‌ঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কা‌লেক্ট‌রে‌টের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মসজিদের আট‌টি লোহার বড় বড় সিন্দুক খোলা হয়। এগু‌লো থেকে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।

এর আগে ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।