
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৬ষ্ঠ একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক, প্রশাসনিক, গবেষণা এবং সহায়ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নোবিপ্রবির ডিপিডি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দের সবচেয়ে বড় অংশ ব্যয় হবে একাডেমিক ভবন–৩ নির্মাণে, যার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ১৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া স্কুল ও কলেজ নির্মাণে ৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কেন্দ্রীয় মসজিদের দ্বিতীয় তলা নির্মাণে ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি আধুনিকায়নে ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ১০০ কেভি সাব-স্টেশন স্থাপনে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভবনে লিফট স্থাপনে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ১৫০ কেভি জেনারেটর ক্রয়ে ৬২ লাখ টাকা, ক্যাম্পাসজুড়ে এলইডি লাইট স্থাপনে ৭২ লাখ টাকা, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে ৬ কোটি টাকা, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১১৭ কোটি টাকা এবং অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ক্রয়ে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
নোবিপ্রবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, “মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। গত এক মাস ঢাকায় অবস্থান করে আমরা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছি। আজকের দিনটি নোবিপ্রবির জন্য অত্যন্ত আনন্দের।”
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “নোবিপ্রবির বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। এই অনুমোদনের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধায় আমূল পরিবর্তন আসবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নোবিপ্রবি দেশের শীর্ষ গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সারিতে জায়গা করে নেবে।








