মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। রিজওয়ান ও শাকিল ৬৮ রান করে করেন।
হায়দারাবাদে টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের।
৩৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার। ফখর জামান ১২, ইমাম উল হক ১৫ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৫ রান করেন।
দশম ওভারেই চাপে পড়া পাকিস্তানকে বিপদমুক্ত করেন রিজওয়ান ও শাকিল। নেদারল্যান্ডস বোলারদের চাপে ফেলে পাল্টা আক্রমণ করেন রিজওয়ান ও শাকিল। এতে ২০তম ওভারেই শতরান পেয়ে যায় পাকিস্তান।
দলের রান দেড়শতে পৌঁছানোর আগেই ওয়ানডেতে শাকিল দ্বিতীয় ও রিজওয়ান ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২৯তম ওভারে শাকিলকে ৬৮ রানে থামিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অফ-স্পিনার আরিয়ান দত্ত।
৫২ বল খেলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন শাকিল। চতুর্থ উইকেটে রিজওয়ানের সাথে ১১৪ বলে ১২০ রান যোগ করেন তিনি।
শাকিল ফেরার ১৯ বল পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রিজওয়ানও। পেসার বাস ডি লিডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৫ বল খেলে ৮টি চারে ৬৮ রান করেন রিজওয়ান।
৩২তম ওভারে রিজওয়ান ফেরার পর ইফতিখার ৮ রানে থামেন। সপ্তম উইকেটে ৭০ বলে ৬৪ রান তুলে পাকিস্তানের রান আড়াইশ পার করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান। নাওয়াজ ৩৯ ও শাদাব ৩২ রানে ফিরেন।
এরপর ২৫২ রানে অষ্টম উইকেট হারালেও শেষ দুই উইকেটে ৩৪ রান পায় পাকিস্তান। শেষ দুই ব্যাটার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের দৃঢ়তায় ৪৯তম ওভারে অলআউট হবার আগে ২৮৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
রউফ ১৬ রানে ফিরলেও ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন আফ্রিদি। নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডে ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচে ৪ উইকেটের বেশি নিতে পারেনি নেদারল্যান্ডসের পক্ষে কোন বোলার।