বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ‘বাঁচা-মরার’ লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের কাছেও লজ্জার হার মানতে হলো বাংলাদেশকে। গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ডাচদের দেওয়া ২৩০ রানের টার্গেটে ১৪২ রান করতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে সাকিবরা। ফলে ৮৭ রানের বড় জয় তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে এটা বাংলাদেশের টানা পঞ্চম হার।
২৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানেই ভেঙে পড়ল ওপেনিং জুটি। ১২ বল ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। ডাচ স্পিনার আরিয়ান দত্তের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল গ্লাভসে লেগে উঠে যায় ওপরে, উইকেটরক্ষক নেন সহজ ক্যাচ।
পরের ওভারে তানজিদ হাসান তামিমও উইকেট বিলিয়ে দিন। পেসার ফন বিকের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাটে আলতো ছোঁয়া লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ করেন তামিম। এরপর শান্ত আউট হয়েছেন ১৮ বলে ৯ রান করে, পল ফন ম্যাকেরনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা পঞ্চম ম্যাচে দশের নিচে আউট হলেন শান্ত।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৪ বলে ৫ রান করে ফন ম্যাকেরনের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৪০ বলে ৩৫ করা এই অলরাউন্ডারকে তুলে নেন বেস ডি লিডি।
ভরসা ছিল মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের ওপর। কিন্তু মুশফিক এবার হতাশ করলেন। ৫ বলে মাত্র ১ করে বোল্ড হলেন ম্যাকেরনের বলে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর শেখ মেহেদি হাসান ৩৮ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। শেখ মেহেদি রানআউট হন ৩৮ বলে ১৭ করে।
শেষ ভরসা ছিলেন কেবল মাহমুদউল্লাহ। তিনিও আউট হয়ে যান তিন ওভার পরই। ৪১ বলে ২ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। বাংলাদেশের হারও নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ৩৫ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২০ আর তাসকিন আহমেদ ৩৫ বলে করেন ১১ রান। ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ফলে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হয় সাকিব আল হাসানদের। দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপে ডাচদের কাছে হেরে লজ্জা পেতে হলো পুরো জাতিকে। তাও আবার ভালো খেলে নয়, লজ্জাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ দল।