রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। গতকাল সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার। কাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।
এদিকে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে -৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্র এসে ভোট প্রদান করতে পারেন আমরা সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেষ্টা রয়েছি। গ্রাম পুলিশ, আনসার, নিয়মিত পুলিশ, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীর সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সচেষ্ট রয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, কুমিল্লার ১১ টি আসনে ১৪৩৫টি কেন্দ্রে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হয়েছে । গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ, মোবাইল টিম, স্টাইকিং টিম ও স্ট্যান্ড বাই টিমের মাধ্যমে পুলিশি তৎপরতা চালানো হবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বহিরাগত ও অস্ত্রধারীদের ঠেকাতে সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, যারা ভোট দিতে চায়- আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দ্বিতীয় প্রস্তুত রয়েছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২২টি রাজনৈতিক দলের ৯৩ জন প্রার্থী আছেন। ৭ জানুয়ারি জেলার ১ হাজার ৪৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯ হাজার ৩৮৮টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে।
এতে ১ হাজার ৪৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ৬ হাজার ১৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৪ জন ও নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন।
এছাড়া কুমিল্লার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে ৩৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।