উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইতে শুরু করেছে হিমেল হওয়া। সকাল ৮ টা নাগাত সূর্য উঁকি দিলেও ঘন কুয়াশার কারণে ছড়াতে পারেনি উত্তাপ। কুয়াশায় হিমেল হাওয়ায় তীব্র হচ্ছে শীত।প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে শীতের অনুভূতি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের মাত্রা। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে নভেম্বর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে নবান্নের তোড়জোড় শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে।
এদিকে, গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যায়। এ ছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন,শনিবার সকালে ঘন কুয়াশা লক্ষ করা গেছে।রাত ও সকালে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে এলেও দিনের বেলা কিছুটা বাড়ছে।তবে আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানান তিনি।