সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ড. ইউনূসের কারাদণ্ড: যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

Dr. Yunus And Matthew Miller
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সাজার বিষয়টি উঠে এসেছে হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস বিফিংয়ে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানায়, ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

বাংলাদেশ সরকারকে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত পরবর্তী ঘটনাগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখা হচ্ছে।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশটি জানিয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ কী হবে, তা আগেই বলা হবে না।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অবশ্যই রায়ের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনও ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখব।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা এটি বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনগুলো খুব কাছ থেকে দেখব, তবে অবশ্যই নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি বা নিতে পারি না সে সম্পর্কে আমি আগে থেকে কোনও কথা বলব না।