
জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত কিউবায় চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে শিশুসহ মোট ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী কারিলদা পেনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানান।
চিকুনগুনিয়া এবার সবচেয়ে বড় প্রাণহানি ঘটিয়েছে। সাধারণত এই রোগ প্রাণঘাতী নয়; তবে জ্বর ও প্রচণ্ড জয়েন্ট ব্যথা এর প্রধান উপসর্গ। এবার পরিস্থিতি অস্বাভাবিকভাবে গুরুতর হয়ে ওঠায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী মারা গেছে।
অন্যদিকে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় জুলাই মাসে মাতান্সাস প্রদেশে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি কিউবার ১৫টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। একই সময়ে বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর সংক্রমণও।
কিউবা বর্তমানে কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, আবর্জনা জমে থাকা এবং মানুষজনের পানির ট্যাংকে পানি জমিয়ে রাখার প্রবণতার কারণে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং কোভিড-১৯ মহামারিতে পর্যটন খাত ধসে পড়ার ফলে কিউবায় বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি তীব্র হয়েছে। এর প্রভাবে মশা নিধনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিও সীমিত হয়ে পড়েছে।









