বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর, ২০২৫

ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ১৪ জনের মৃত্যু

রাইজিং ডেস্ক

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ এখন আর শুধু নগরকেন্দ্রিক নয়; এটি গ্রাম-গঞ্জেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এডিস মশাবাহী এই রোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাব থাকায় প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। ফলস্বরূপ, দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে (শনি থেকে শুক্রবার) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ হাজার ৭৯৯ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৭ সেপ্টেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ৫১৪ জন হাসপাতালে, ২৮ সেপ্টেম্বর ৪ জনের মৃত্যু এবং ৮৪৫ জন হাসপাতালে, ২৯ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৭৩৫ জন হাসপাতালে, ৩০ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৫৫৬ জন হাসপাতালে, ১ অক্টোবর দুইজনের মৃত্যু এবং ৪৯০ জন হাসপাতালে, ২ অক্টোবর দুইজনের মৃত্যু এবং ৩৯৬ জন হাসপাতালে, ৩ অক্টোবর কারও মৃত্যু না হলেও ২৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত (৩ অক্টোবর পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪৮ হাজার ৪৯১ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৮৮ জন, তবে দুঃখজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ২০২ জনের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলছেন, ডেঙ্গু এখন আর ‘সিজনাল’ (মৌসুমী রোগ) নেই, সারা বছরই হচ্ছে। তবে বৃষ্টির শুরুতেই এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি মশা নিরোধক ওষুধের ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকে সব জায়গায় ব্যাপক প্রচার চালানোর এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী মনে করেন, শুধুমাত্র জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ প্রকোপ দেখেছিল দেশ, যেখানে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল— যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

 

 

আরও পড়ুন