
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনার মাধ্যমে দিনব্যাপী এই অধিবেশনটি এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে ও বিভিন্ন বিষয়ে বিশদ আলাপ-আলোচনা হয়।
উপাচার্য তাঁর সভাপতির বক্তব্যে বিগত অর্থবছরের কর্মকাণ্ড, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আজ শুধু একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি গবেষণানির্ভর, পরিবেশবান্ধব এবং উদার মানসিকতা সম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিক মডেল।”
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, চলমান অবকাঠামোগত প্রকল্প, গবেষণার অগ্রগতি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন।
অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়, যেখানে গবেষণা, উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বরাদ্দের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের খতিয়ান বিশ্লেষণ, উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এছাড়াও অধিবেশনে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, শিক্ষক প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত প্রদান করেন।
আলোচনায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার সময়মতো সম্পন্ন করা, গবেষণা অনুদান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা, আবাসন সমস্যা সমাধানে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপূর্ণ রূপায়ন বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
অধিবেশনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নীতিনিষ্ঠ প্রশাসনের প্রতি একটি অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এতে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বার্ষিক সিনেট অধিবেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার গুণগত মান, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
এ বছরের অধিবেশনটিও তার ব্যতিক্রম ছিল না; বরং এটি একটি দৃঢ়, পরিকল্পিত ও গতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।