
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং এটি হবে সকলের মত প্রকাশের নির্বাচন।
তিনি বলেন, জামায়াত ধর্মীয় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুতে নয়, বরং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকারে বিশ্বাসী।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জোর দিয়ে বলেন, জামায়াত ক্ষমতা পেলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না এবং এদেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ দেখবে, যেখানে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না, কোনো দুর্নীতি থাকবে না।
তিনি জামায়াতের স্বচ্ছতার প্রমাণ হিসেবে বলেন, “জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাইনি।” “আমাকে গ্রেফতারের পর বার বার চেষ্টা করেও কোনো দুর্নীতি পায়নি। পরে দুদক স্বীকার করেছে, তথ্যগত মিসগাইডের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
“বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ হয়নি এবং মামলা হয়নি।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জনসভায় বক্তব্যে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি’র এক সময়ের বৃহত্তম দল হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, “সেই বিএনপি এখনও জনপ্রিয় হতে পারেনি। আর জনপ্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।”
তিনি এর প্রমাণ হিসেবে ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচনের ফলাফলকে সামনে আনেন, যেখানে ইউনিভার্সিটিগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, “আগামীর নির্বাচন হবে সত্যের পক্ষের নির্বাচন।”










