অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে্। এই বাজেটে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এসব পণ্য ও পণ্যের উপকরণে শুল্ক বাড়ানো এবং ভ্যাট বসানোর ঘোষণা থাকছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শুল্ক বাড়ানো ও ভ্যাট আরোপের এ ঘোষণা দিতে পারেন। আগেই এমন আভাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
আমদানি করা মোবাইল ফোন, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বাসমতি চাল, চশমা, কাজু বাদাম, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সিগারেট, জর্দা-গুল, খেজুর ও বিদেশি টাইলসসহ আরও কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্যে বর্তমানে ৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর আছে। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। আর তা বাড়লে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
সরকার চায় আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি যাতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছায় এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রভিশনাল হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে, বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য দেশে ওভেন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া আছে। ফলে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়লেও দেশি ওভেনের দাম নাও বাড়তে পারে।
আগামী বাজেটের আকার বর্তমান বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হবে। বাজেটটি ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।