মে ১০, ২০২৫

শনিবার ১০ মে, ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

Obaidul Quader
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় আওয়ামী লীগ। যারা এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।

আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত করা যাবে না। বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো ক্ষতি হবে না আওয়ামী লীগের। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আরও ২৯টি দল আছে। সরকারের বাইরেও অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দল নির্ভর করে শক্তিশালী গণতন্ত্রের ওপর।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার যে, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন বয়কট করেছে। এখন আমরা কী করতে পারি? তাদের নির্বাচনে আসতে আমরা যদি বাধা দিতাম, তাহলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তারা তো স্বেচ্ছায় নির্বাচনে আসছে না, এখন আমরা কি তাদের জোর করে নির্বাচনে আনব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অবরোধ-হরতালকে প্রত্যাখ্যান করে সবাই নির্বাচনের উৎসবে মেতেছে। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে যাচাই-বাছাই চলছে। সর্বত্র এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। বাধা দিয়ে, নাশকতা করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে না। এ ধরনের বাধা যদি বেশি হয়, তাহলে জনগণেই প্রতিহত করবে।

১৪ দলের প্রার্থীদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ দলের পক্ষ থেকে কিছু আসন দাবি করতে পারে। যারা বিজয়ী হতে পারে তাদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের।

আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

১০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কোনো সমাবেশ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি। মানবাধিকার দিবস পালন করা গণতান্ত্রিক অধিকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন